“দূরপাড়ি” অ্যালবামটি ওয়ার্ল্ড মিউজিক এর প্রযোজনায় প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে।
গান : সুরের ভূবনে
কথা : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুর : সত্য সাহা
গান : গানেরই খাতায়
কথা : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুর : সুবল দাস
গান : তুমি যে আমার কবিতা
কথা : ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল
সুর : সুবল দাস
গান : বহু গান আমি শুনেছি
কথা : খন্দকার আব্দুল মোত্তালেব
সুর : মাহমুদুন্নবী
গান : তুমি কখন এসে
কথা : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুর : সত্য সাহা
গান : ও গো মোর মধুমিতা
কথা : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুর : সত্য সাহা
গান : সালাম পৃথিবী
কথা : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুর : সত্য সাহা
গান : তুমি আমায় ভালবাসো
কথা : আবু হায়দার সাজেদুর রহমান
সুর : আজাদ রহমান
গান : ঐ দেখ আকাশের নদীতে
কথা : জিয়া হায়দার
সুর : খন্দকার নুরুল আলম
গান : খোলা জানালার পাশে
কথা : এস. এম. হেদায়েত
সুর : লাকি আখান্দ্
গান : আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে
কথা : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুর : সত্য সাহা
কৃতজ্ঞতা :
অ্যালবামের নাম কি রাখবো-“দূরপাড়ি” নাকি “চিরদিন তোমারে চিনি” সেই টেনশন থেকে আমায় যারা উদ্ধার করলো তাদের ; যারা ভুলগুলো ধরিয়ে দিল তাদের ; বিশেষ করে মা’ কে ; আমার প্রিয় পরিবারকে ; বিশ^রঙ-এর বিপ্লব চিত্রশিল্পী কিরীটি রঞ্জনকে ; সোনা রং পত্রিকাকে ; বিরল ছবিগুলো যতœ করে রাখার জন্য - বন্যা খালা ও ছোট বোন অন্তরাকে ; আমার বাবার হাতের স্বাক্ষরটি দেয়ার জন্য প্রোমিক্স-এর রূপায়নকে ; যারা অ্যালবামটি বের করার জন্য গত কয়েক বছর ধরে ঘ্যান ঘ্যান করেছে (!) সেই প্রিয় ভক্তদেরকে ; সর্বোপরি এই অ্যালবামটি শ্রোতাদের হাতে তুলে দেবার জন্য ওয়ার্ল্ড মিউজিককে।
আল্লআহ্তায়ালা’র পরই সর্বোচ্চ আসনে বাবা-মা’র স্থান। আর আমার ধারনা-সৃষ্টিকর্তার সবচে’ বড় নেয়ামত হলো সন্তান। এই বাংলার মেলোডি কিং, রোমান্টিক কণ্ঠ শিল্পী মাহ্মুদুন্নবী আমার বাবা এবং রাশিদা চৌধুরী আমার মা। এ আমার জীবনে বিশাল পাওয়া।
১৯৩৬ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে বাবা’র জন্ম। সহজ-সরল, মিষ্টভাষী, ভোজন-রসিক এবং ভীষণ অভিমানী আমার বাবা’র জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গানই ছিল সব।
ভক্তদের অনুরোধে অ্যালবাম করলেও উদ্দেশ্য ছিল এ প্রজন্মের সাথে শিল্পী মাহমুদুন্নবী ও তাঁর গানগুলি পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাঁর গাওয়া কালজয়ী গানগুলি তাদের কাছে তুলে দেবার প্রয়াস নিলাম ঠিকই ; কিন্তু বাবা’র গানগুলো গাওয়া যে সহজ নয়, তা অনুভব করলাম গানগুলি গাইতে গিয়ে। মিউজিকে কিছু আধুনিক মাত্রা একটু করে যোগ করলাম। জানিনা কতদূর গাইতে পেরেছি। তবে চেষ্টা করেছি বাবা’র ইচ্ছাপূরণে সুরের সাগরে দূরপাড়ি দিতে। সাথে থাকলো গানের ব্যাপারে কিছু টিপস, যা বাবা আমাদেরকে দিয়েছিলেন।
১৯৯০ সালের ২০শে ডিসেম্বর বাবা জান্নাতবাসী হন।
শ্রদ্ধাসহ স্মরণ করছি বাবা’র গানগুলোর গীতিকার, সুরকার এবং সমস্ত অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের।
এবারের অ্যালবামটি আমার বাবা-মা সহ পৃথিবীর সকল বাবা-মা’দের জন্য উৎসর্গ করলাম।
আমার জন্য দো’আ করবেন।
সামিনা চৌধুরী
কিংবদন্তী শিল্পী মাহ্মুদুন্নবী’র কালজয়ী গানগুলি সঠিক সংরক্ষণ আমাদের দেশে নাই, যা কিনা খুব দুঃখজনক। মাঝে মাঝে তাঁর সেই গানগুলো কিছু কিছু শিল্পীর কণ্ঠে শোনা গেলেও তাঁরই কন্যা “সামিনা চৌধুরী’র” কণ্ঠে ধারণ করার ইচ্ছা বহুদিন ধরে আমার মনে ছিল। দেরীতে হলেও এই অ্যালবামটিতে “সামিনা চৌধুরী’র” গাওয়া ১২টি গান মাহমুদুন্নবী’র ভক্তদেন হৃদয়ে একটু হলেও স্পর্শ করবে। এটা ভাবতেই আমার ভাল লাগছে। আমি মনে করি মাহমুদুন্নবীর মত শিল্পীর এই গানগুলির মধ্যদিয়ে সারাজীবন সুস্থ সংগীত প্রিয় শ্রোতাদের কাছে অমর হয়ে থাকবে। বাবা’র প্রতি কন্যার শ্রদ্ধা আর কি-ই বা হতে পারে ?
ধন্যবাদ
ইজাজ খান স্বপন
ওয়ার্ল্ড মিউজিক
এই অ্যালবামের প্রতিটি গানের কথা, সুর ও ভিডিও ওয়ার্ল্ড মিউজিক-এর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত।
এই অ্যালবামের যে কোন গান নকল বা কপি করা আইনত : দন্ডনীয়। অতএব ওয়ার্ল্ড মিউজিক-এর অনুমতি ছাড়া ক্যাসেট বা সিডি থেকে কপি বা অন্য কোন মাধ্যমে ব্যবহার অথবা ভিডিও নির্মান করা নিষিদ্ধ। অনুমতি ব্যতিত রিংটোন বা কোন রেডিওতে গান প্রচার নিষিদ্ধ।